দক্ষ লিডারশিপের মাধ্যেমেই দীর্ঘমেয়াদি সফলতা অর্জিত হয়। বিজনেস ওয়ার্ল্ডে হাতে গোনা কয়েকজন বিজনেস লিডার রয়েছেন যারা ক্লিয়ার ভিশন তৈরী করেন এবং দক্ষতার সাথে বিজনেস কে হ্যন্ডেল করেন।
সভ্যতার মতোই, বিজনেসেও উত্থান-পতন থাকে। ঠিক একই ভাবে অনেক সময় পর্যন্ত কিছু লিডার টপে থাকেন আবার কেউ কেউ কয়েক বছরের মধ্যেই ঝড়ে পরেন। যাই-হোক লিডারদের সফলতার শিকড় কিন্ত এমনি এমনি গড়ে ওঠে না।
আর না তারা তারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মান। তাদের শিক্ষা, দক্ষতা, পেশন সবকিছুর সমন্বয়েই তারা গড়ে ওঠেন বিজনেস ওয়ার্ল্ডের আউডল। তাহলে চলুন জেনে নেই অসাধারণ কয়েকজন বিজনেস লিডারদের কথা, যাদের কে আপনি আইডল হিসেবে বেছে ফলো করতে পারেন।
1. Tracey Grace
বিখ্যাত আইটি কোম্পানি IBEX এর সি.ই.ও এবং ফাউন্ডার Tracey Grace। কর্পোরেট ট্রেইনিং এ তার অভিজ্ঞতা ২০ বছরেরও বেশী। নিজের কোম্পানি ছাড়াও তিনি Learning Tree International, FedEx, এবং New Horizons কম্পিউটার লার্নিং সেন্টারের উচ্চতর পদে কর্মরত ছিলেন। কৃষ্ণাঙ্গ বর্ণের এই মহিলা লিডার নতুন নতুন আইডিয়া তৈরীর ব্যাপারে অনেক পেশনেট।
2. Rishav Agarwal
Picexle এর জনক এবং সি.ই.ও রিশাব আগারওয়াল। এই কোম্পানি টি গিগ ওয়ার্কার এবং অর্গানজাইশেন এর গ্যাপ দূর করতে ব্রিজ বা সেতুর ন্যায় কাজ করে। Picexle মূলত বিজনেস দুনিয়ার দুইটি প্রধান সমস্যা সমাধান করে।
এটি কোম্পানি গুলোকে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এর সন্ধান দেয় আর এসব হাই-কোয়ালিটি কোম্পানি গুলোকে প্রতিযোগীতামূলক মার্কেটে টিকে থাকতে এরকম প্রতিভাবান এমপ্লয়ী খুজে দেয়। যুবক রিশাব আগারওয়াল একজন ইন্ডিয়ান উদ্যোক্তা; যার আছে দ্রুততার সাথে সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা, তিনি মার্কেট ট্রেন্ড গুলোকে ফোকাস তো করেনই সেই সাথে ফিউচার ডিমান্ড কি হতে পারে তাও অনুমান করতে পারেন।
3. Kim Grennan
Kim Grennan একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি Axle Eight এর ফাউন্ডার। কিম মানব-কেন্দ্রীয় এপ্রোচ নিয়ে কাজ করে। তার মতে অনেক “ওয়ান-সাইজ-ফিটস-অল” মার্কেটিং সল্যুশন রয়েছে যা কোম্পানি গুলোকে রিভিনিউ বাড়ানোর মতো সলুশ্যন এনে দিতে পারে। Axle Eight কোম্পানিটির জন্ম ২০১৬ সালে, আর দিন যতোই গড়াচ্ছে ততোই এটি আরো শক্তিশালী কোম্পানি হয়ে উঠছে।
4. Tim Cook
২০১১ সালে স্টিভ জবস এর মৃত্যুর পর Tim Cook এ্যাপল এর সি.ই.ও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি খুব দ্রুতই সব চ্যালেন্জ মোকাবেলা করে নিজেকে প্রমাণিত করেন। তার অধিনত্বে এ্যাপল বেশ কিছু ইনোভেটিভ কাজ করে। আর ২০২২ সালে এ্যাপল প্রোডাক্টে বিভিন্ন এক্সাইটিং আর নতুন বিষয় লঞ্চ করে যেমন: iPhone 14, AirPods Pro 2, তিনটি নতুন এ্যাপল ওয়াচ।
5. Sheryl Sandberg
Sheryl Sandberg ২০১৮ সাল থেকে ফেসবুক এর সি.ও.ও পদে কাজ করছেন। ফেসবুকের রিভিনিউ বাড়াতে তার কর্মদক্ষতা চোখে পড়ার মতো এবং তিনি প্রথম মহিলা যিনি কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টর দ্বারা নির্বাচিত হন। শুধুমাত্র ২০২০ এ ২১% রিভিনিউ বৃদ্ধি পায় ফেসবুকের। এছাড়াও তিনি একটি বেস্ট সেলিং বই এর লেখিকা যার নাম “ Women, Work, and the Will to Lead”।
6. Reed Hastings
নেটফ্লিক্স ফাউন্ডার এবং সি.ই.ও Reed Hastings, পেশায় তিনি এডভোকেট। ২০০২ সালে তিনি নেটফ্লিক্স তৈরী করেন আর এখন এটি মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের বিজনেস হয়ে দাড়িয়েছে। তার মার্কেট পরিবর্তনের দিকে নজর আর ভবিষ্যৎ ভাবতে পারার যোগ্যতা না থাকলে নেটফ্লিক্স এতো বড় জায়ান্ট কোম্পানি কখনোই হতে পারতো না।
পরিশেষে
লিডারশিপ কোয়ালিটি বাই বার্থ থাকে এটা ঠিক তবে ট্রেইনিক এবং পড়াশোনার দ্বারাও অনেকেই লিডার হবার যোগ্য হয়ে উঠতে পারেন। একটি বৈজ্ঞানিক রিসার্চে দেখা যায় লিডারশিপ ৩০% জেনেটিক আর ৭০% ই লার্নিং এর ওপর নির্ভর করে। একজন লিডারের থাকা চাই লিডারশিপ কোয়ালিটির সেট এবং ওয়ার্কারস, টিমমেট, ক্লায়েন্ট দের সাথে কানেক্ট হতে পারার সক্ষমতা।