অটোমেশন মার্কেটিং কি? (Automation Marketing) এটি কিভাবে কাজ করে?

শতকরা ৮০ ভাগ টপ পারফর্মিং কোম্পানি মার্কেটিং অটোমশন ব্যবহার করে আসছে তিন বছর বা তার অধিক সময় ধরে, রিভিনিউ বাড়ানোর সাথে সাথে মার্কেটিং অটোমেশন কনজিউমার এঙ্গেজমেন্ট প্রচুর বাড়িয়ে দেয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক একটি মার্কেটিং টিমকে “মার্কেটিং অটোমেশন” এর ব্যাপারে কি কি জানা উচিত এবং ব্র‌্যান্ড বুস্টিং এর জন্য অটোমেশন কিভাবে কাজ করে। 

 

অটোমেশন মার্কেটিং কি 

এক কথায় বলতে গেলে মার্কেটিং অটোমেশন টার্ম টি হলো একটি প্লার্টফর্ম যার মূল উদ্দেশ্য ইনবাউন্ড মার্কেটিং চ্যানেল কে অটোমেটেড করে ফেলা। সাধারনত অটোমেশন এর কাজ গুলো হয় রিপিটিটিভ যেমন: সেন্ডিং ইমেইল, সোশাল মিডিয়া পোস্ট, কন্টাক্ট ইনফরমেশন ম্যানেজ করা। মার্কেটিং অটোমেশন একজন মার্কেটারের স্কিলসেট নয় বরং এটি মার্কেটার এর যোগ্যতা কে আরো বেশী দ্রুততার সাথে করতে সাহায্য করে।

 

কার্যকরী অটোমেশন এর স্টেপ

অটোমেটেড মার্কেটিং প্রসেস প্ল্যান করার পূর্বে একটি ওয়ার্কফ্লো তৈরী করে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে একটি মার্কেটিং টিম নতুন এপ্রোচে কাজ করে ব্র্যান্ড এর বেস্ট রেজাল্ট তুলে নিয়ে আসতে পারে। সাধারনত চারটি কি-স্টেপ এর মাধ্যমে ওয়ার্কফ্লো ডিজাইন করা হয়।

 

জরুরী কাজ শনাক্ত করা

প্রথমেই কোম্পানির মোস্ট রিপিটিটিভ মার্কেটিং টাস্ক গুলো যাচাই বাছাই করে সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করা অটোমেশন টাস্কটি খুজে বের করতে হবে। উদাহরনস্বরুপ বলা যায় ইমেইল কে অটোমেটেড করে ফেলা। এটি একটি টিমের এডমিনিস্ট্রিটিভ বোঝা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। সব ধরনের মার্কেটিং টাস্ক এর মধ্য থেকে টাইম কনজিউমিং টাস্ক টি বের করে তা অটোমেটেড করে ফেলা যেতে পারে।

 

সঠিক অটোমেশন সফটওয়্যার সিলেকশন

অটোমেশন সফটওয়্যার বাছাই করার সময় অগণিত অপশন পাওয়া যায়। তবে কাজ শুরুর প্রথমেই বেস্ট ওয়ান টা বাছাই করে নেয়া কিছুটা কঠিন। মূলত স্পেসিফিক ইন্ডস্ট্রি নিয়ে সাজানো অটোমেশন সফটওয়্যার গুলো সিলেক্ট করাই ভালো। তবে লং-টার্ম ইউজের জন্য ভলোভাবে রিসার্চ করে সফটওয়্যার সিলেক্ট করা উচিত। অনেক প্লাটফর্ম ফ্রি ট্রায়াল এর সুযোগ দেয়, এছাড়াও তাতে কিছু ইউনিক টেস্ট করে সফটওয়্যারটি সেট করে দেখে নেয়া যেতে পারে। 

 

টিম ট্রেইনিং

যদিও, অটোমেশন মার্কেটিং প্রসেস কে দ্রুতগতির করে দেয়, তারপরেও নতুন সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য মার্কেটিং স্টাফ দের ট্রেইন করার প্রয়োজন। একটি অটোমেশন সফটওয়্যার কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে স্টাফ দের ভাল ধারনা থাকা বাঞ্ছনীয়। এছাড়াও স্টাফদের নতুন সিস্টেম টেস্ট করার জন্য বিভিন্ন অপরচুনিটি পরীক্ষা করার সুযোগ করে দেয়া উচিত কারন মার্কেটিং অটোমেশন এখন মার্কেটিং স্কিল এর অনেক গুরুত্বপূর্ন অংশ হয়ে উঠেছে।

 

রিভিউ করা

শুধু অটোমেশন সেট করাই অটোমেশন মার্কেটিং এর শেষ নয়। একটি অটোমেশন প্রসেস রান করানোর পর, কিছুদিন পর পর তা অবশ্যই রিভিউ করা উচিত; অটোমেশন প্রসেস টি ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা; তা লিড গুলো কে রিয়েল কাস্টমারে পরিণত করতে পারছে কিনা। নিয়মিত রিভিউ করার ফলে অটোমেশন সফটওয়্যারে সঠিক সময়ে সঠিক এডজাস্টমেন্ট করা প্রয়োজন কিনা তা বোঝা যায়।

 

মার্কেটিং অটোমেশন ব্যবহারের টিপস

মার্কেটিং অটোমেশন টুলস এর সঠিক আউটপুট বের করে আনতে কিছু প্র‌্যাকটিকাল টিপস:

 

অডিয়েন্স কে জানা

মার্কেটিং অটোমেশন এর মাধ্যমে অডিয়েন্সের গড় ডেমোগ্রাফিক প্রোফাইল, লোকেশন, ইন্টারেস্ট, অভ্যাস ইত্যাদি সম্পর্কে ভাল ধারনা পাওয়া যায়। তারা কোম্পানির কাছে কেমন পন্য বা সেবা আশা করে তা জানা যায়। বায়ার পারসোনা তৈরীর ফলে অডিয়েন্স কে স্পেসিফিক ভাবে টার্গেট করা যায় যা মিনিংফুল কন্টেন্ট ডেলিভারী তে সাহায্য করে। 

 

অটোমেশন টোন সেট করা

টার্গেট ডেমোগ্রফিক অডিয়েন্সের উপর ভিত্তি করে কর্পোরেট টোন এবং কনভার্শেসনাল কন্টেন্ট ডেলিভার করা হয়। যখন একটি কোম্পানি তার নিজস্ব কমিউনিকেশন টোন ঠিক করে নেয় তখন এর ওপর লেগে থেকে সহজেই কাস্টমার এর দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারে। 

 

রোবোটিক না হওয়া

অনেক অটোমেটেড কন্টেন্ট গুলো কেমন একঘেয়ে এবং রোবোটিক হয়ে যায়। যদিও অটোমেটেড কাজ গুলো রোবট রাই সম্পন্ন করে; তাও এর মধ্যে একটি হিউম্যান টাচ থাকা খুব প্রয়োজনীয়। কমিউনিকেশন ডিজাইন, মার্কেটিং ইমেইল গুলো সাধারনত একজন হিউম্যান ক্যাজুয়াল ভাবে লিখলে তা গ্রাহককে তুষ্ট করতে সক্ষম হয়। এতে অডিয়েন্স বিশ্বাস করেন এই পার্সোনালাইজড বা তাদের নাম দেয়া মেইল টি তার জন্যই স্পেসিফিক ভাবে লেখা হয়েছে। 

 

প্রাসঙ্গিক থাকা

ট্রেন্ডের ধারার সাথে মিল রেখে সঠিক সময়ে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে পারলে নোটিসড হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তবে হ্যা এই এপ্রোচে থটফুল থাকতে হবে। সব ট্র‌্যান্ডে না বরং কিছু কিছু ট্রেন্ড কে ফলো করে অটোমেশন প্রসেস সাজনো কোম্পানির জন্য অনেক সুফল বয়ে আনতে সক্ষম। 

 

কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্সে নজর

মূলত একটি অটোমেশন প্রসেস এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অডিয়েন্স রা এর ব্যাপারে কিভাবে রিয়েক্ট করছে তা জানা। এই প্রসেস এর মাধ্যমে যেহেতু মিনিংফুল ডাটা একসাথে সংগ্রহ করা হয়, তাই কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স কে ম্যাপিং এবং ফিডব্যাক গুলো জড়ো করার ফলে কাস্টমারের রিয়েকশন সম্পর্কে সহজেই জানা যায়। এর ফলে অটোমেশন কোথায় হেল্পফুল হচ্ছে তা জানা যায়। 

 

মার্কেটিং অটোমেশন এর সুবিধা

অটোমেশন প্লাটফর্ম এবং এপ্রোচ এর মাধ্যেমে মার্কেটিং ইনভেস্টমেন্ট এর ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায়। প্রোমোশনাল স্ট্রেটিজির জন্য অটোমেশন এর সুবিধাদি নিচে দেয়া হলো:

 

ক্রস ডিপার্টমেন্টাল কোলাবোরেশন

অটোমেশন প্লাটফর্ম গুলো সেলস এবং মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে। সেই সাথে সেলস ফিচার গুলো ইনেবল করে যা মার্কেটিং টিম কে টার্গেটেড ক্যাম্পেইন, কন্টেন্ট এবং কমিউনিকেশনে সাহায্য করে। 

 

সময় ও খরচ বাচায়

অটোমেটেড টুলস গুলো রিপিটিটিভ কাজ গুলো করার ফলে মার্কেটাররা ক্রিয়েটিভ চিন্তা করার সুযোগ বেশী পান। এতে সময় এবং খরচ দুইই বাচে। কন্টেন্ট শিডিউলিং থেকে শুরু করে সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সব কিছুকেই অটোমেটেড করে ফেলা যায়, সাধারনত যে সমস্ত কাজে হিউম্যান টাচ এর প্রয়োজন হয়না। 

 

টার্গেট অডিয়েন্স কে মনিটর 

একটি সলিড মার্কেটিং অটোমেশন প্লাটফর্ম অডিয়েন্স কে মনিটর করার সুযোগ দেয়। অটোনোমাস ট্যাকনোলজির দ্বারা রিয়েল টাইম ডাটা ট্র‌্যাক করা যায়। এর ফলে টার্গেটেড এবং পার্সোনালাইজড কমিউনিকেশন করা যায়, যার ফলে কাস্টমার বিশ্বস্ততা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়। 

 

মার্কেটিং অটোমেশন এর উদাহরণ

 

ইমেইল মার্কেটিং অটোমেশন

একজন ইউজার যখন কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করে এবং নির্দিষ্ট কোন পন্য বা সেবার বুকলেট ডাউনলোড করেন তখন তার কন্টাক্ট ইনফর্মেশন কোম্পানির সিআরএম এ জমা হয়। তখন কোম্পানি টি সহজেই ইউজারের ইনফর্মেশন এবং ইউজার হিস্টোরি সম্পর্কে জানতে পারে। এরপর সেই ইউজারের কাছে একটি ধন্যবাদ ইমেইল (ইউজারের নাম সহ, পার্সোনালাজাইড ইমেইল) পাঠানো হয় বুকলেট টি ডাউনলোড করার জন্য। 

এরপর একই ইউজারকে ফলো আপ ইমেইল পাঠানো হয় অটোম্যাটিক্যালি, যাতে থাকে কল টু একশন ফিচার করা। ঠিক এভাবে মার্কেটিং অটোমেশন এর মাধ্যমে একজন লিড কে কাস্টমার বানানো যায় এবং পুরো প্রসেস টি হয় অটোমেটেড ভাবে। 

এমনকি শতকরা ৮৬ ভাগ মার্কেটারের মতে মার্কেটিং অটোমশেন লিড গুলোর কোয়ালিটি বাড়ায়, কারন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে পার্সোনালাজাইড ইমেইল পাঠানোর ফলে কাস্টমারকে ভ্যালু প্রদান করা হয় এবং কমিউনিকেশন ভাল হয়।

 

সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং অটোমেশন 

সোশাল মিডিয়িা মার্কেটিং খুব টাইম কনজিউমিং টাস্ক। কোম্পানি গুলোকে ডেইলি কয়েকটি পোস্ট করতে হয় এবং কন্টিনিউয়ালি তা পাবলিশ করতে হয়, যা অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই সোশাল মিডিয়া অটোমেশন একজন মার্কেটারের অনেক সময় বাচায়। মাল্টিপল সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট গুলোকে শিডিউল করে তার রেস্পন্স এবং কমেন্টস গুলোকে জড়ো করা হয়। এতে লয়েল কাস্টমার বেইস ঠিক হওয়ার পাশাপাশি এঙ্গেজিং ফলোয়ারস বৃদ্ধি এবং ব্র‌্যান্ড কে প্রমোট করা হয়। 

 

মোবাইল মার্কেটিং অটোমেশন

ইমেইল অটোমেশন এর সাথে মোবাইল অটোমেশন অনেকটাই মিল রয়েছে। মোবাইল অটোমেশন এর মাধ্যমে: 

  • এড টার্গেট করা যায়।
  • সূক্ষ এনালিটিকাল ইনসাইট পাওয়া যায়।
  • এ/বি টেস্ট রান করানো।
  • রিয়েল টাইম এঙ্গেজমেন্ট সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।

অটোমেশন প্লাটফর্ম

কোম্পানি গুলোর মার্কেটিং অটোমেশন এর প্রতি আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং তা চলতে থাকবে বলে ধারনা করা যায়। গ্লোবাল মার্কেটিং অটোমেশন মার্কেট ২০২১ সালেই ২.৭৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট ছুয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত মার্কেটিং অটোমেশন প্লাটফর্ম গুলো হলো:

  • HubSpot: ২৯.৩% মার্কেট শেয়ার
  • Adobe Experience Cloud: ১১.৯% মার্কেট শেয়ার
  • Oracle Marketing Cloud: ৮.৫৫% মার্কেট শেয়ার
  • Active Campaign: ৮.০২% মার্কেট শেয়ার
  • Salesforce Pardot: ৪.৮৯% মার্কেট শেয়ার
  • Marketo: ৩.০৬% মার্কেট শেয়ার
  • Drawbridge: ২.৩৪% মার্কেট শেয়ার
  • SharpSpring: ২.২৯% মার্কেট শেয়ার

মার্কেটিং অটোমেশন কিভাবে কাস্টমারকে এফেক্ট করে

মার্কেটিং অটোমেশন কোম্পনিতে ডেভলপমেন্ট আনার সাথে সাথে সেলস এবং রিভিনিউ এর পরিমান বাড়ায়। কনভারশেসন বাড়ানোর ফ্যাক্টর গুলো হলো:

 

লিড রেস্পন্স টাইম কমায়

সব ধরনের কাস্টমারই প্রায়োরিটি চায়, অবশ্যই তাদের এই ভাবনার রাইট আছে। এত এত অপশন এবং কম্পিটিটর দের মধ্যে কাস্টমার যেখানে নিজেকে গুরুত্ব পেতে দেখে সেখানেই তাদের ‍উপার্জিত টাকা খরচ করতে রাজি হয়। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ এর মতে একটি লিড যদি এক ঘন্টার মধ্যে রেস্পন্স পায় তখন তার পন্য বা সেবার কেনার প্রতি আগ্রহ ৭ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। আর অটোমেশন সিস্টেম কাস্টমারদের টাইমলি রেস্পন্স পাঠানোর জন্যই কাজ করে। 

 

লিড নার্চারিং এবং লিড স্কোরিং

হাবস্পট এর ডাটা অনুসারে শতকরা ৭০ ভাগ কোম্পানির কাছে মার্কেটিং অটোমেশন কাস্টমার কমিউনিকেশনে ভূমিকা রাখে। অটোমেশন এর ফলেই একটি লিড এক সপ্তাহ থেকে এক বছরের মধ্যেও কাস্টমারে পরিণত হতে পারে, আর একেই লিড নার্চারিং বলা হয়। 

মার্কেটিং অটোমেশন এর মাধ্যমে প্যারামিটার সেট করে একজন কাস্টমারের জার্নি কে স্কোরিং করা যায়। এছাড়াও ডাটা গুলোকে ম্যনুয়ালি সর্টিং না করে কাস্টমার একশনের ওপর সর্টিং করা যেতে পারে। যেমন: ইমেইল ওপেনিং, ই-বুক ডাউনলোড ইত্যাদি। লিড স্কোরিং এর মাধ্যমে অনুমান নির্ভর কাজের পরিমাণ কমানো যায়, এতে মার্কেটাররা সহজেই বুঝতে পারেন কোন কোন লিড গুলোতে প্রায়োরিটি দিলে তারা কাস্টমারে পরিণত হবে।

 

রিলেভেন্ট কন্টেন্ট

মার্কেটিং অটোমেশন এর দ্বারা কোম্পনি গুলো প্রত্যেক কাস্টমারকে জানতে পারে। এডভার্টাইজিং থেকে শুরু করে ইমেইল মার্কেটিং প্রতিটি অটোমেশন সিস্টেমকে কাস্টমারের চাহিদা অনুসারে শিডিউল করা যায়। কাস্টমার ডাটা পাওয়া যায় বলে ‍সঠিক সময়ে কাস্টমারের নিড পূরন করা সহজ হয়।

 

বেটার এন্সার প্রদান

মার্কেটিং অটোমেশন এর মূল কাজই হলো লিড গুলোকে ম্যনেজ করা, লিড গুলোর প্রশ্ন নিয়ে জানা, প্রশ্নগুলো জানার ফলে তাদের নানা ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেয়া সহজ হয় এবং তা পার্সোনালাইজড ভাবে পাঠনোর ফলে ক্রেতা সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। 

এছাড়াও বিহ্যাভিওরাল ডাটা স্টোর রাখা হয় বলে কাস্টমারের সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায়। এমনকি পূর্ববর্তী ক্রয়, লাইফটাইম ভ্যালুর ওপর ভিত্তি করে কাস্টমার হিস্টোরি এবং অটোমেশন রেস্পন্স রেইট বোঝা যায়।

 

পরিশেষে

একজন মার্কেটার এর টু-ডু লিস্ট অনেক বড় হওয়ায় রিপিটিটিভ কাজ গুলো সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করে ফেললে এতে যেমন সময় বাচে; তেমন মার্কেটার ক্রিয়েটিভ কাজে বেশী সময় দিতে পারেন। অটোমেশন যেমন স্ট্রেস কমায়, তেমন কঠিন ডাটা ড্রিভেন স্ট্র‌্যাটিজিকে কম সময়ে সহজে করে ফেলে। মার্কেটিং অটোমেশন এর ফলে কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স জানা যায় বলে তাদের এটেনশন কে কেন্দ্রীভূত করে ভ্যালু ড্রাইভ করা যায়। 

Share:

More Posts

Best Uses of LinkedIn Search – Part 1

বিক্রয়কর্মী হিসাবে, আপনার কাজ সম্ভাব্য কাস্টোমার খুঁজে বের করা এবং সেগুলোকে লিড হিসেবে নির্বাচন করা। এক বিলিয়ন সদস্যসহ, লিংকডইন আপনার মাছ ধরার জন্য মাছে ভরা

LinkedIn Marketing

‘বাস্তবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী আছেন যারা কোল্ড কল ঘৃণা করে এবং তাদের উত্তর দিবেন না। লিঙ্কডইন হল তাদের কাছে পৌঁছানোর চাবিকাঠি।’   সম্প্রতি একটি বৈশ্বিক

কিভাবে লিঙ্কডিন (Linkedin) ব্যাকগ্রাউন্ড/ব্যানার ইমেজ তৈরি করবেন?

সুপারিশকৃত ছবির আকার – ১৫৮৪ x ৩৯৬ আপনার প্রোফাইল ছবির পিছনে আপনার লিঙ্কডইন ব্যাকগ্রাউন্ড / ব্যানার রয়েছে, যা লিঙ্কডইন প্রোফাইলগুলির সর্বাধিক ব্যবহৃত অংশগুলির মধ্যে একটি। 

লিঙ্কডিন (Linkedin) প্রোফাইল ফটো টিপস সম্পর্কে জানতে চান!

আপনার পিছনে একটি সমতল পটভূমি রয়েছে। এটি আপনাকে বিস্তৃত করবে, যেখানে একটি বিশৃঙ্খল পটভূমি আপনার থেকে ভিউয়ারকে বিভ্রান্ত করবে। যদি সম্ভব হয় তবে লিঙ্কডিন ব্যাকগ্রাউন্ডের

Send Us A Message